ছোট শিশুদের খিঁচুনি রোগ,কলেরা , হিষ্টিরিয়া ও মৃগীরোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

 ছোট শিশুদের খিঁচুনি রোগ, কলেরা ,হিষ্টিরিয়া ও মৃগীরোগ নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা: ছোট শিশুদের খিঁচুনি রোগ , কলেরা , হিষ্টিরিয়া ও মৃগীরোগ নিরাময়ে হোমিও মেডিসিন ইথুজা -সিনাপিয়াম খুবই কার্যকরী। 

ইথুজা-সিনাপিয়াম

পরিচয় :   ইহার অপর নাম গার্ডেন -হেমলক বা কুকুর বিষ।

ব্যবহারস্থল: যেসকল শিশুর দুধ মোটেই সহ্য হয়না তাদের ক্ষেত্রে এটি কার্যকরী । দুধ পানের পর শিশু বার বার বমি করে,নাক মুখ দিয়ে বমি বের হয়ে যায় ।বমির পর শিশু অনেক দুর্বল হয়ে যায় এবং গভীর ঘুম আসে। আবার যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন ক্ষুধায় অস্থির হয়ে যায় ।শিশুর কলেরা , উদরাময়, মস্তিষ্কের ক্লান্তি ,মৃগী ও হিষ্টিরিয়া রোগ প্রতিরোধে ইখুজা -সিনাপিয়াম ফলপ্রদ।

ছোট শিশুদের খিঁচুনি:  ছোট শিশুদের খিঁচুনি প্রতিরোধে ইখুজা একটি মূল্যবান ঔষুধ। খিঁচুনির সময় শিশু হাত মুঠো করে ,শরীর শক্ত হয়ে যায় , চোখ দুটি স্থির ও চোখের তারা দুটি নীচের দিকে ঘুরে যায়,মুখে ফেনা উঠে , দাঁত কপাটি লাগে ,নাড়ী দুর্বল ও দ্রুত হয়। শিশুদের দাঁত উঠার সময় সাধারণত উল্লেখিত উপসর্গ দেখা যায় । ইথুজা প্রয়োগের পর সম্পূর্ণ  নিরাময় না হলে সোরিণাম বা সালফার প্রয়োগ করতে হবে।সদৃশ ঔষুধ -সিকুটা । শিশুদের খিঁচুনিতে অন্যতম  উৎকৃষ্ট ঔষুধ । 

শিশুদের পক্ষাঘাত : যে সকল শিশুর দুধ সহ্য হয় না , তাদের পক্ষাঘাত হলে  এই ঔষুধ বিশেষ কার্যকরী । ডাঃ ন্যাশ এই সকল ক্ষেত্রে ২০০ শক্তি প্রয়োগ করে যথেষ্ট উপকার পেয়েছেন।

শিশুর কলেরা :কলেরা সাধারণত গ্রীষ্মকালে বেশী হতে দেখা যায় । ডাঃ গারেন্সি বলেন --শিশু কলেরায়  ইথুজা একটি বিশেষ কার্যকরী ঔষুধ । শিশু মলত্যাগের পর অত্যন্ত নিস্তেজ ও দুর্বল হয়ে পড়লে এই ইখুজা ঔষুধটি ফলপ্রদ । 

শিশুর কলেরায় কয়েকটি বিশেষ প্রয়োজনীয় ্ঔষুধ:  ক্রিয়োজোট- অনবরত বমন এবং দুর্গন্ধ ভেদ হতে থাকে , সবুজ মল অথবা রক্তাক্ত ,কালচে বাদামী রঙের। দাঁত উঠার সময় থাকে । শিশুর পোকাধরা দাঁত থাকলে এটা অধিক ব্যবহার হয়ে থাকে । 

হিষ্টিরিয়া ও মৃগীরোগ : রোগী দাঁড়াতে পারে না অথবা মাথা তুলতে পারে না ,সমস্ত শরীর যেন দৃঢ়বদ্ধ থাকে এমন অনুভব হয়। মৃগী আক্রমণ কালে হাত মুষ্ঠিবদ্ধ ,মুখমন্ডল আরক্তিম ,দৃষ্টি নিম্নাকৃষ্ট , চক্ষুতারকা স্থির ও প্রসারিত ,মুখ খেকে ফেনা র্নিগমন,চোয়াল দৃঢ়বদ্ধ, নাড়ী ক্ষীণ ,দ্রুত ও কঠিন , নিদ্রালুতা এবং সেই সঙ্গে ইথুজার বিশেষ কার্যকরী।

সম্বন্ধ:  ডাঃ টেস্টি বলেন --এই ঔষুধ সাল্ফারের সমগুণ বিশিষ্ট । দুগ্ধ -বমনে অ্যান্টিম-ক্রুভ,আর্স , ক্যাল্কে, কুপ্রাম ,ওপিয়াম ,অ্যাসারাম ও সাইকিউটা তুল্য ঔষুধ ।

বৃদ্ধি:  ভোর ৩ টা হতে ৪ টায় ;সন্ধ্যাকালে ,উত্তাপে ,গ্রীষ্মকালে ,কফি পানে ; সুরা  সেবনে বিছানার গরমে ও উপরের দিকে তাকালে ।হ্রাস- খোলা বাতাসে ,সঙ্গীদের সাথে কথাবার্তা বললে ,গরম পানিতে কাপড় ভিজিয়ে পেটে রাখলে ।

শক্তি-৩x,৬,৩০,২০০শক্তি।নিম্নশক্তিই বেশী কার্যকরী ।

পরিশেষে যদি রোগী মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার জন্য অনুরোধ রইলো । 

Post a Comment

0 Comments