আমাশয় ,ধনুষ্টঙ্কার, নিউমোনিয়া ও শিরঃপীড়া নিরাময়ে -হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা


আমাশয়, ধনুষ্টঙ্কার ,নিউমোনিয়া ও শিরঃপীড়া নিরাময়ে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা পদ্ধতিঃ-   
সা শীতকালীন শুষ্ক ঠান্ডা বাতাস থেকে হঠাৎ করে নিউমোনিয়া , কলেরা ,আমাশয় ,রক্তমাশয় ,স্নায়ুশূল ,ধনুষ্টঙ্কার,মস্তিষ্কের প্রদাহ, শিরঃপীড়া সহ প্রভৃতি রোগের আর্বিভাব ঘটে। এসব সধারণতমস্যায় হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা অত্যাধিক ফলপ্রদ।নিম্নে এসকল রোগের ঔষুধ সর্ম্পকে আলোচনা করা হলোঃ-

পরিচয়ঃ-অ্যাকোনাইটাম-ন্যাপেলাস অপর নাম মাসহুড বা মিঠা বিষ। এই জাতীয় গাছ ভয়ানক বিষাক্ত।
ব্যবহারস্থলঃ- নিউমোনিয়া , প্লুরিসি ,কলেরা ,শিশু কলেরা ,আমাশয় , রক্তমাশয়, স্নায়ুশূল ,শিরঃপীড়া ,ধনুষ্টঙ্কার ,মস্তিষ্কের প্রদাহ  ইত্যাদি।
ক্রিয়াস্থলঃ- এই ঔষুধটি মস্তিষ্কের -পৃষ্ঠবংশীয় স্নায়ুমন্ডলের উপরে কাজ করে ধমনিতে রক্ত সঞ্চােলনের আধিক্য ঘটায়।সেই জন্য নানা স্থানে রক্তসঞ্চয় ও প্রদাহ উৎপন্ন করে।
লক্ষণঃ- রোগটি আরম্ভ হয়ে ভীষন ভাবে প্রকাশ পায়। শুষ্ক ঠান্ডা বাতাস  লেগে এই রোগের উৎপত্তি। অনেক পুরাতন রোগ যদি শুষ্ক ঠান্ডা লেগে শুরু হয়ে যায়  তাহলে ্।অ্যাকোনাইট প্রয়োগ করলে ভালো হয়ে যাবে।
হৃদরোগ পুরাতন রোগ হলেও অ্যাকোনাইট প্রয়োগ করা চলে।এছাড়াও মানসিক উদ্বেগ উৎকন্ঠা,অস্তিরতা ,  ্অত্যন্ত কাতরতা দেখা যায়।

আমাশয়ঃ রক্ত-আমাশয় ও সাদা আমাশয়ের জন্য  এটি একটি উত্তম ঔষুধ ।যখন দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা  থাকে  সেই সময় হঠাৎ ঠান্ডা লেগে রক্তমাশয় শুরু হয়। অ্যাকোনাইট একমাত্র ঔষুধ  যা প্রয়োগ করার ফলে উদ্বেগ , জলপিপাসা ইত্যাদি কিছু কমে সম্পূর্ন  আরোগ্য না হলে মার্ক কর ব্যবহারে  উপকার পাওয়া যাবে।

ধনুষ্টঙ্কার :.ঠান্ডা লেগে বা হঠাৎ কোন কারণবশতঃ ধনুষ্টঙ্কার হলে  অ্যাকোনাইট ফলপ্রদ। ডাঃ হিউজ বলেন -অতিরিক্ত শীত ভোগের  পর ঠান্ডা লেগে ধনুষ্টঙ্কার হলে সেই সঙ্গে উদ্বেগ , অস্তিরতা ইত্যাদি থাকলে অ্যাকোনাইট প্রয়োগে সুফল পাওয়া যায়।
নিউমোনিয়াঃ-প্রথমাবস্থায় শীতল ঠান্ডা হাওয়া লাগার ইতিহাস ,পিপাসা ,অস্থিরতা ,শুষ্ক কাশি ,বুকে অসহ্য বেদনা , প্রবল উত্তাপ থাকলে অ্যাকোনাইট ব্যবহারে আশাতীত ফল পাওয়া যায়।উঠে বসলে মুখ মড়ার ন্যায় ফ্যাকাসে হয়ে যায় এবং কাশি দেয়ার সময় শ্লেষ্মা উঠে তা চটচটে আঠালো কখনো আবার রক্তাক্ত। নিউমোনিয়ার দ্বিতীয় অবস্থায় অ্যাকোনাইট ব্যাবহার করা চলে।তথন বুকে যন্ত্রণা হতে থাকে ,জ্বালা ও ভারি বোধ হয় । বুকে হাতের চাপ ও কোন ভারি জিনিস সহ্য হয়না ।খুব কষ্টকর শ্বাস প্রশ্বাস ,দ্রুত শ্বাস -প্রশ্বাস ,বুকে ক্লান্তি বোধ ও দূর্বলতা বোধ।
শিরঃপীড়াঃ আসন থেকে উঠার সময়  বা মাথা নোয়ালে অথবা উপরের দিকে তাকালে মাথা যন্ত্রণা হয় বা মাথা ঘোরে । মাথায় রক্তধিক্যর জন্য মুখমন্ডল আরক্তিম ও উত্তপ্ত হয়ে উঠে ।শিরঃপীড়া হলে অ্যাকোনাইট উৎকৃষ্ট ঔষুধ।এছাড়া ও স্ত্রী লোকের হঠাৎ ঋতুস্রাব বন্ধ হওয়ার ফলে শিরঃপীড়ার জন্য অ্যাকোনাইট কার্য করী।
শক্তিঃ-১x,৩,৩০,২০০।

Post a Comment

0 Comments