যারা বিউটি পার্লারে বা দোকানের ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে চান না তারা চাইলে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন ফেসওয়াশ। আসুন তাহলে জেনে নিই হোমমেডইড ফেসওয়াশ তৈরি ফরমুলা।
ঘরে তৈরি ফেসওয়াশ |
(১) রাইস ওয়াটার (Rice Water) দিয়ে ফেসওয়াশ
এক মুঠো বা অল্প কিছু পরিমাণ চাল নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে ২৪ঘণ্টা। এর পর ছেকে পানিটা আলাদা করুন। চাইলে এই পানি ফ্রিজে রেখে পরবর্তীতেও সর্বোচ্চ ১২ দিন পর্যন্ত ফেসওয়াশ তৈরিতে ব্যবহার করতে পারবেন। যখন ফেসওয়াশ করবেন তখন অল্প পরিমাণ এই চালের পানির সাথে এক চা চামচ পরিমাণ মধু ও আধা চা চামচ পরিমাণ গ্লিসারিন যুক্ত করুন। এর পর কটন বলের সাহায্যে ফেইসে তিন থেকে চার মিনিট লাগিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস ওয়াশ ড্রাই স্ক্রিনের জন্য খুবই উপকারী। যাদের ওয়েলি স্ক্রিন তারা গ্লিসারিন বেশি না যোগ করাই ভালো। মধু ত্বকের ভিতর থেকে পরিষ্কারের পাশাপাশি ত্বককে মশ্চেরাইজ করে করে।
(২) নিম পাতার জল দিয়ে ফেসওয়াশ
এক কাপ পরিমাণ গরম পানির সাথে নিম পাতা যোগ করে কিছুক্ষণ ফুটাতে থাকবেন। কিছুক্ষণ পর যখন পানিটি সবুজ রং ধারণ করবে তখন পানিটি ছেকে নিতে হবে। এটিও আপনারা ফ্রিজে ১০-১২ দিন সংরক্ষণ করতে পারবেন। যখন ফেসওয়াশ করার প্রয়োজন হবে তখন অল্প পরিমাণে নিম পানি নিয়ে এর সাথে মুলতানী মাটি মিক্স করে ক্রিম এর মত তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এই ফেসওয়াশটি ওয়েলি স্ক্রিনের জন্য অনেক বেশি উপকারী। এই ফেসওয়াশটি ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করে। তাছাড়া যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারাও উপকার পাবেন।
(৩) দারুচিনির জল দিয়ে ফেসওয়াশ
পানি গরম করার সময় দুই তিন টুকরা দারুচিনি যোগ করে কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে। পনিটি ছেকে আলাদা করে নিতে হবে। এই পানিও পূর্বের মত সংরক্ষণ করা যাবে। ব্যবহার করার সময় এর সাথে অল্প এলোভেরা জেল এবং গ্লিসারিন যোগ করে কটন বলের সাহায্যে ত্বকে লাগাতে পারেন। তিন-চার মিনিট অপেক্ষা করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই ফেসওয়াশ কম্ভিনেশন স্ক্রিনের জন্য খুবই উপকারী।
(৪) গোলাপ জল দিয়ে ফেসওয়াশ
গোলাপ জলের সাথে অল্প পরিমাণ গ্লিসারিন যোগ করে কটন বলের সাহায্যে ত্বকে লাগিয়ে মেসেজ করুন। পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়েফেলুন। এই ফেসওয়াশ সব স্ক্রিনের জন্য উপকারী।
এই ভাবে ঘরে ফেসওয়াশ তৈরি করে যারা প্রাকৃতিক ভাবে বা ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য খুবই উপকারী।
0 Comments